অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অত্যাধুনিক 'কবচ’ প্রযুক্তি রক্ষা করতে পারল না ভারতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে


ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

রেল দুর্ঘটনা রুখতে ‘কবচ’ প্রযুক্তির ঘোষণা করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ঘোষণার ১৫ মাসও হয়নি। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর ২০২২-এর মার্চে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ বলেছিলেন, ভারতীয় রেল যাতে দুর্ঘটনাশূন্য হয় তার জন্যই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ওড়িশাত বালেশ্বরে শুক্রবার ২রা জুন দু’টি এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষের পর যে মৃত্যু মিছিল দেখা গেল তাতে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল সেই কবচ।

কবচ-এর ট্রায়ালে দু’টি ট্রেন মুখোমুখি ছুটে গিয়েছিল। যার একটি ট্রেনে ছিলেন রেলমন্ত্রী নিজে। দেখা গিয়েছিল, দু’টি ট্রেনের ধাক্কা লাগার ৪০০ মিটার আগে থেমে গিয়েছিল। তা নিয়ে কম হইহই হয়নি। কিন্তু করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠছে, এই ট্রেনে কবচ প্রযুক্তির উপস্থিতি নিয়ে।

রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন নামক একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতীয় রেল। যদিও এই প্রযুক্তির বিষয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু হয়। তারপর তা নির্মাণেও সময় লাগে বেশ কয়েক বছর। শেষ পর্যন্ত গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় কবচ-এর ব্যবহার।

জাতীয় স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয় কবচকে। সর্বোচ্চ সুরক্ষা স্তরের পরীক্ষাতেও সবুজ সংকেত পায় এই প্রযুক্তি। গত কয়েক বছর ধরে রেলকে দুর্ঘটনা শূন্য করা, গতি বাড়ানো—ইত্যাদির জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার প্রচারও হয়েছে বিরাট। কিন্তু তা কতটা কার্যকরী হয়েছে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠছেই। বহু জায়গায় অটোমেটিক সিগনালিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের বক্তব্য, তাতে আগের চেয়েও দেরিতে চলছে ট্রেন। সব মিলিয়ে পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য বালেশ্বরের দুর্ঘটনা ফের একবার ভারতীয় রেলের পরিকাঠামো, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।

XS
SM
MD
LG