ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আচমকা ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী, বন্ধ ওড়িশাগামী ট্রেনও।
জানা যাচ্ছে বাতিল হওয়ার ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে চেন্নাই মেল, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, আপ এবং আপ পুরী এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই হাওড়া, সাঁতরাগাছি, শালিমার, খড়গপুর সহ একাধিক জায়গায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে প্রতিনিধিদের একটি দল পাঠানো হচ্ছে ওড়িশায়। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাম্বুলেন্সও পাঠাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক সদর দপ্তর নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "বাংলার অনেকে ওই ট্রেনে ছিলেন। তাঁদের অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা দল পাঠাচ্ছি।" ওড়িশা সরকার ও রেলের সঙ্গেও সমন্বয় রাখছে রাজ্য সরকার। একটি কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে নবান্ন। তার নম্বর ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ ও ০৩৩-২২৫৩৫১৮৫। আপাতত সারাক্ষণ এই দু’টি নম্বর সক্রিয় থাকবে। যাঁদের পরিবারের লোকজন করমণ্ডলে ছিলেন তাঁরা যোগাযোগ করে পরিস্থিতির বিষয়ে আপডেট নিতে পারবেন।
সংবাদসূত্রে জানা গেছে, সুপারফাস্ট করমন্ডল এক্সপ্রেস-এ যে নতুন ‘লিঙ্ক-হফম্যান-বুশ’ কামরা থাকার কথা, যা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটলেও তার অভিঘাত খুব সামান্য হওয়ার কথা, তার বদলে পুরনো কামরা দিয়েই চলছিল ট্রেনটি।
সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে যা ছবি, ভিডিও সামনে আসছে তাতে অনেকেরই আশঙ্কা মৃত্যুসংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জখমের সংখ্যাও অনেক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে উদ্ধার কাজ ও গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। যেভাবে তিনটে ট্রেন এক লাইনে চলে এসেছিল এবং এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে ফের একবার রেলের পরিকাঠামো, যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।