অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অনড় ভারত: এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে সরতে পারে শ্রীলঙ্কায়


অনড় ভারত: এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে সরতে পারে শ্রীলঙ্কায়
অনড় ভারত: এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে সরতে পারে শ্রীলঙ্কায়

ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ নিয়ে টানাপোড়েন তীব্র হয়ে উঠল দক্ষিণ এশিয়ায়।

এবারের এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে হওয়া এই টুর্নামেন্টে খেলতে চলেছিল ছয় দল। নেপাল ছিল এবারের নতুন অতিথি। কিন্তু শুরু থেকেই ভারতের তরফে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ স্পষ্টভাবে বলে আসছিলেন, ভারত কোনোভাবেই এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। ঘটনাচক্রে, জয় শাহ আবার ‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’-এর সভাপতি। তাঁর প্রস্তাব ছিল, এশিয়া কাপ হোক নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

ভারত-পাক সম্পর্ক রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের সব খেলাই এখন হয় তৃতীয় কোনও দেশে। গত এশিয়া কাপেও ভারত-পাকিস্তান খেলা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে।

প্রত্যুত্তরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজম শেঠি প্রস্তাব করেছিলেন, ‘হাইব্রিড মডেলে’ খেলা হোক। অর্থাৎ, ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলুক কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। বাকি খেলাগুলো পাকিস্তানে হোক।

বিশেষজ্ঞ মহলের পর্যবেক্ষণ এই মুহূর্তে পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি সঙ্কটাপন্ন। এশিয়া কাপের মত বড়মাপের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হলে তা পাক অর্থনীতিতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তাছাড়া পাকিস্তানে অনেকদিন ধরেই বড়মাপের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়নি। ফলে এশিয়া কাপ আয়োজন সফলভাবে করতে পারলে পাকিস্তান খানিকটা ভাবমূর্তিও পুনরুদ্ধার করতে পারবে।

কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে পাকিস্তানকে কোনওভাবেই জায়গা ছাড়া হচ্ছে না। বস্তুত

ভারত না খেললে এশিয়া কাপের জৌলুসটাই ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এখন প্রস্তাব উঠেছে, জরুরি ভিত্তিতে এশিয়া কাপ সরে যাক শ্রীলঙ্কায়। তারা এমনিতেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন। শ্রীলঙ্কাতেও আর্থিক সমস্যা এতদিন চরমে ছিল। ফলে এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ পেলে শ্রীলঙ্কা রাজি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তান এটাকে কীভাবে নেবে এবার সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বছরের শেষে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে ভারতে। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ। নাজম শেঠি, রামিজ রাজারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে না এলে পাকিস্তানও ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখবে। আর এতেই চিন্তিত আইসিসি। বিশ্বকাপের মূল আকর্ষণটাই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। কার্যত বিজ্ঞাপন, দর্শক সমাগম সব দিক দিয়েই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হয় আইসিসির। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে এবং সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস লাহোর যাচ্ছেন।

সংবাদ সূত্রের খবর, পাকিস্তান এইবার পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপেও ‘হাইব্রিড মডেলে’ খেলার দাবি তুলতে পারে। কিন্তু ভারত কোনওভাবেই নিজের অবস্থান থেকে সরছে না। পিসিবি ও আইসিসিকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ভারত পাকিস্তানে দল পাঠাবে না, কিন্তু পাকিস্তানকে ভারতেই আসতে হবে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থায় এই মুহূর্তে বিসিসিআই যথেষ্ট প্রভাবশালী। ফলে এখন নাজম শেঠিরা বলছেন, এইবার সিদ্ধান্তের দায়িত্ব তাঁরা ছাড়বেন পাকিস্তান সরকারের ওপর। ইসলামাবাদ থেকে যা নির্দেশ আসবে, সেইমতই চলা হবে।

XS
SM
MD
LG