ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে খাসি হিলস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল সম্প্রতি স্বামী বা বাবার পদবি গ্রহণ করা ব্যক্তিদের তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নির্দেশ নিয়েই তীব্র বিতর্ক ছড়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের এই পার্বত্য রাজ্যে। নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধী দল ও পুরুষাধিকার কর্মীরা।
কেএইচএডিসি-র অন্যতম প্রধান সদস্য তিতোস্তারওয়েল চাইন ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রকে জানান খাসি উপজাতির মাতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে স্থানীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কারণ খাসি সমাজব্যবস্থায় মায়ের পদবি অনুযায়ী পুত্র বা কন্যার পদবি নির্ধারণ করা হয়। শুধু তাই নয়, সম্পত্তির উত্তরাধিকারীও হন পরিবারের কনিষ্ঠ কন্যা।
এবারই প্রথম নয়, অতীতেও কেএইচএডিসি এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করেছে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই মর্মে একটি বিল উত্থাপন করা হয় যার সারমর্ম – যেসব মহিলারা পুরুষতান্ত্রিক রীতিনীতি গ্রহণ করবে তাদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে আইনত বঞ্চিত করা হবে। খাসি হিলস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট খাসি স্যোশাল কাস্টম অফ লিনিয়েজ অ্যাক্ট (১৯৯৭) অনুযায়ী কোনও খাসি মহিলার সন্তান তাদের ভিন সম্প্রদায়ের বাবার সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারবে না।
খাসি নারীবাদী সংগঠনগুলির অবশ্য অভিযোগ, আইনি রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও ভিতরে ভিতরে পুরুষতন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েই চলেছে। তাঁদের অভিমত, খাসি সমাজে মাতৃতান্ত্রিকতার নেপথ্যে আসলে পিতৃতান্ত্রিকতা সক্রিয় রয়েছে।