‘মনপুরা’, ‘মনের মানুষ’, ‘দেবী’, ‘আয়নাবাজি’র অজস্র সিনেমায় অভিনয় করলেও বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে সুপারস্টার তকমা পেয়েছেন ‘হাওয়া’ সিনেমাটির মাধ্যমে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘পদাতিক’-এ নামভূমিকায় অর্থাৎ বিশ্ববন্দিত পরিচালক মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এবার সেই সিনেমারই একটি দৃশ্যের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেকেই চিনতে পারছেন না বলে দাবি করলেন চঞ্চল।
সে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা পাঞ্জাবি, মোটা ফ্রেমের চশমা পরে সোফায় বসে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। মাথায় তাঁর ব্যাকব্রাশ করা পাকা চুল, ঠোঁটে চেপে ধরা একটি সিগারেট। হাতে দেশলাই নিয়ে সিগারেট ধরানোর চেষ্টা করছেন সেই ব্যক্তি। মেকআপ করে রাতারাতি যেন ভারতীয় নিউ ওয়েভ সিনেমার পথিকৃৎ-এর চেহারা পেয়ে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। একধাক্কায় বাড়িয়ে ফেলেছেন নিজের বয়স। সেই ছবিটিই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। সঙ্গে ক্যাপশনের শুরুতেই লিখেছেন, 'এটা আমি নাকি মৃণাল সেন?'
এর পাশাপাশি ছবির পরিচালক সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়, প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান ও মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে।
সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি দিয়ে তিনি লিখেছেন, “ছবিটা দেখে প্রথমে আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই… এটা কি মৃণাল সেন নাকি আমি! সত্যটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে। সেই সঙ্গে অনেকখানি ভালও লেগেছে। মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডুর কী অসাধারণ কাজ। মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিখ্যাত পত্রিকা ‘ভ্যারাইটি’ মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনীত আমার এই ছবিটি দিয়ে, আমার এবং পরিচালক সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের ও প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসানের একটা ইন্টারভিউ ছেপেছে। বাবা’র সদ্যমৃত্যুর শোক বুকে নিয়ে শেষ করেছি মৃণাল সেনের জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘পদাতিক’-এর কাজ।”
এরপর ছবিটির মুক্তি সম্পর্কে চঞ্চল আরও লেখেন, “এবছরেই ছবিটি মুক্তি পাবে সিনেমা হলে। প্রযোজকের ইচ্ছা একইসঙ্গে দুই বাংলাতেই তিনি ‘পদাতিক’ মুক্তি দিতে চান। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই পরিচালক সৃজিৎ মুখোপাধ্যায় ‘পদাতিক’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন। ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা সৃজিৎদার প্রতি এরকম একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ে আমাকে নির্বাচন করার জন্য।”