অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে প্রস্তুত কিছু কাশির ওষুধ শরীরে ঢুকলেই ঘটতে পারে বিষক্রিয়াঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট


কাশির সিরাপ। (ফাইল ছবি)
কাশির সিরাপ। (ফাইল ছবি)

উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা নয়ডার ম্যারিয়ন বায়োটেক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই তোলপাড় করে খোঁজ চলছে। ভারতের আরও কিছু কোম্পানির তৈরি কাশির ওষুধ যে একেবারেই নিরাপদ নয় তা এবার রিপোর্ট দিয়ে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বলা হয়েছে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার আরও দুটি কোম্পানির তৈরি কাশির ওষুধে এমন বিষাক্ত রাসায়নিক আছে যা বাচ্চারা খেলে তাদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরীক্ষা করে দেখেছে পাঞ্জাবের কিউপি ফার্মাচেন ও হরিয়ানার ট্রিলিয়াম ফার্মার তৈরি কাফ সিরাপ হু-র গাইডলাইন অনুযায়ী তৈরি হয়নি। এই দুই কোম্পানির তৈরি কাশির ওষুধে এমন উপাদান আছে যা শরীরে ঢুকলে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ভারতের এই দুই সংস্থার তৈরি কাশির ওষুধ খেলে বাচ্চাদের প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি থাকবে। কাশির ওষুধের বিষাক্ত উপাদান শরীরে ঢুকলে মারাত্মক পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, প্রস্রাবে সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, কিডনির অসুখ এমনকী মানসিক স্থিতিতেও বদল আসবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটি সিরাপেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডাইইথিলিন গ্লাইকল বা ইথিলিন গ্লাইকল যা শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। দুটি কাশির ওষুধই এই রাসায়নিকের কারণে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।

আগে ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেড’এর সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় তল্লাশি অভিযান চালায়। তারপরই ওই সংস্থার নয়ডা ইউনিটে সব ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডকে সর্দিকাশির সিরাপ ‘ডক-১ ম্যাক্স’ উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, প্রোপিলিন গ্লাইকলযুক্ত অন্য ওষুধগুলির উৎপাদনও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে সংস্থাকে।

XS
SM
MD
LG