অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে এসসিও সম্মেলনে বাড়তি গুরুত্ব নয় পাক বিদেশমন্ত্রীকেঃ জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক


 ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো
ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো

আগামী মে মাসের গোড়ায় ভারত সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো। আগামী ৪ ও ৫ মে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন। সেখানে পাকিস্তান ছাড়াও চীন, কাজাখস্তান, রাশিয়া, কিরগিস্তান, তাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন।

বিলাবল ভুট্টো পাক বিদেশ মন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন। ২০১২-র পর পাকিস্তানের কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীই ভারত সফরে আসেননি। স্বভাবতই নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কিন্তু দিল্লির পররাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে গোয়ার সম্মেলনে পাক বিদেশমন্ত্রীকে আলাদা করে কূটনৈতিক খাতির করতে আগ্রহী নয় ভারত। আর পাঁচজন সদস্য দেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রীদের মতোই ব্যবহার করা হবে তাঁর সঙ্গে।

পাকিস্তান গোয়ার সম্মেলনে ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে কি না বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে, বিলাবল ভুট্টোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্ভাবনায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর । দু’দিন আগে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, "আমরা সেই প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা নিয়ে ভাবিত নই যারা জঙ্গিবাদ রপ্তানি করে, অন্য দেশে নাশকতাকে প্রশ্রয় দেয়।" জয়শঙ্কর গত সপ্তাহে কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় পাঁচ জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।

বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, পাক বিদেশ মন্ত্রীকে আলাদা করে গুরুত্ব না দিয়ে নয়া দিল্লি ইসলামাবাদকে তাদের আচরণ নিয়ে বার্তা দিতে চায়। কারণ ক্রমবর্ধমান আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পাকিস্তানের ভিতর থেকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের দাবি উঠেছে সে দেশের নাগরিক সমাজ এবং রাজনীতিকদের মধ্য থেকেও। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সেই প্রচেষ্টা শুরুও করেছিলেন।

কিন্তু তাতে জল ঢেলে দেন বিলাবল ভুট্টো। জাতিসংঘের সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ তোলেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাতের 'কসাই' বলে আক্রমণ করেন। পাক বিদেশমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের জেরে ব্যক্তি বিলাবল সম্পর্কেও আপত্তি রয়েছে নয়া দিল্লির।

তবে তিনি এসসিও সম্মেলনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে যেটুকু সৌজন্য রক্ষা করার তা পালন করবে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, এসসিও সম্মেলন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার মঞ্চও নয়। ফলে সেখানে কোনও পক্ষেরই দ্বিপাক্ষিক ইস্যু উত্থাপনের সুযোগ নেই। কিন্তু নয়াদিল্লির মনোভাব হল, সম্মেলনকে ছাপিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এখনই আগ্রহ দেখানো হবে না।

XS
SM
MD
LG