অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-চীন সীমান্তে অশান্তির সমাধান খুঁজতে আঠারোতম বৈঠকে দু'দেশের সেনা কম্যান্ডররা


ফাইল ছবি- শ্রীনগর-লাদাখ মহাসড়কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়িবহর। ১৭ জুন, ২০২০।
ফাইল ছবি- শ্রীনগর-লাদাখ মহাসড়কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়িবহর। ১৭ জুন, ২০২০।

চীন-ভারত বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পূর্ব লাদাখের গোগরা, হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর কোনও ইচ্ছে দেখাচ্ছে না চীন প্রশাসন। পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকা ও গোগরার কাছে এখনও সক্রিয় চীনের লাল ফৌজ। অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছে। নতুন করে অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় চীনের ফৌজ যে হামলা চালাতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই ফের দুই দেশের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক বসেছে সোমবার ২৪ এপ্রিল।

আগামী সপ্তাহেই ভারতে আসছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার প্রাক্কালে রবিবার মুখোমুখি বসলেন ভারত ও চীনের সেনা কম্যান্ডারের শীর্ষ আধিকারিকেরা। লাদাখ সীমান্তে চীনের হামলার পর গত তিন বছরে এই নিয়ে মোট ১৮ বার মুখোমুখি বসলেন ভারত-চীন সেনা কম্যান্ডার। পূর্ব লাদাখে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালির নেতৃত্বে চীনের কম্যান্ডারদের মুখোমুখি বসেন ভারতীয় সেনা আধিকারিকেরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখার জন্যই আলোচনা হয় দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের।

পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রথম নয়। আগেও বহুবার হয়েছে। কিন্তু সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকের পরে তার সমাধানও করা গেছে। কিন্তু ২০২২-এর ১৫ জুন গালওয়ানের মুখোমুখি সংঘাতের পরে সীমান্ত পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বৈঠকেও শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বরং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ প্যাঙ্গং লেক ও তার সংলগ্ন পাহাড়ি খাঁজ থেকে লাল সেনা সরেছে ঠিকই, তবে অন্যদিকে গোগরা, হট স্প্রিং, দেপসাং ভ্যালিতে নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। অস্ত্রশস্ত্রও মজুত হচ্ছে।

সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চীন দুই দেশই। বরং সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে তার মর্যাদা ভেঙেছে চীনই। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা দেখিয়েছে তারা। যার কারণে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তথা এলএসি-তে কীভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে দু’তরফেই। প্যাঙ্গং থেকে সেনা সরলেও পূর্ব লাদাখের সবকটি স্পর্শকাতর এলাকা থেকে চীন যে সেনা সরায়নি সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সঙ্গেই তিনি সাফ জানিয়েছেন, দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে তখনই আসবে যখন বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা হবে। লাদাখে সীমান্তে কোনও রকম বদল মেনে নেবে না ভারত।

XS
SM
MD
LG