শুক্রবার ২১ এপ্রিল সাতসকালেই ট্যুইটার থেকে ব্লু টিক হারিয়ে ফেলেছেন বহু সেলেব্রিটি। কে নেই সেই তালিকায়! ভারতে বলিউডের শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে ক্রিকেট দুনিয়ার ধোনি-কোহলি, রাজনীতির জগতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-যোগী আদিত্যনাথ, সবারই ব্লু টিক খোয়া গিয়েছে ইলন মাস্কের নতুন নিয়মের জেরে।
বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা না দিলে পাওয়া যাবে না ব্লু টিক। এমনটাই জানানো হয়েছে। আর সেই টাকা না দেওয়াতেই ব্লু টিক রাতারাতি ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। আর এরপরই তড়িঘড়ি ব্লু টিক ফেরাতে তৎপর হলেন অমিতাভ বচ্চন। টাকা জমা করে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে টুইটও করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
অমিতাভ বচ্চন লেখেন, “এ ট্যুইটার ভাইয়া! শুন রহে হো? অব তো প্যায়সা ভি ভর দিয়া হ্যায় হম… তো ও জো নীল কমল হোতে হ্যা না, হমারে নাম কে আগে, ও তো বাপস লগায় দে ভাইয়া, তাকি লোগ জান জায়ে কী হম হি হ্যায় অমিতাভ বচ্চন। হাত তো জোড় লিয়ে রহে হম। অব কা হোড়বা জোড় পড়ি কা?”
যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “ও ট্যুইটার ভাই, শুনতে পাচ্ছেন? এবার তো টাকা জমা করে দিয়েছি। তাহলে ওই যে নীল কমল (ব্লু টিক) হয়, আমার নামের আগে, ওটা আবার জুড়ে দাও ভাই। যাতে সবাই বুঝতে পারে যে আমিই আসল অমিতাভ বচ্চন। হাত জোড় তো করলাম। এবার কি পায়েও পড়তে হবে?”
ট্যুইটারে কোনও সেলেব্রিটির প্রোফাইল আসল না নকল, তা নির্ধারিত হতো নামের পাশে থাকা ব্লু টিক দিয়ে। কিন্তু ট্যুইটার কিনে নেওয়ার পরই এই ব্লু টিক নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেন ইলন মাস্ক। এবার থেকে ব্লু টিক রাখতে হলে ভারতীয় মুদ্রায় খরচ করতে হবে বছরে ৯ হাজার ৪০০ টাকা। এই টাকা যারা দিতে পারবেন, তাঁরাই ব্লু টিক পেয়ে যাবেন। আর টাকা খরচ না করলে, কেউ যত বড় সেলেব্রিটি হোন না কেন, তাঁকে ব্লু টিক দেবে না ট্যুইটার। শুধু সেলেব্রিটিরাই নন, কোনও বড় রাজনৈতিক নেতামন্ত্রী, শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি থাকবে।
বলা হতো, ট্যুইটারে ব্লু টিক থাকা মানে সেটা আসল অ্যাকাউন্ট। সেলেব্রিটিদের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ধরতে এই ব্লু টিক খুব সাহায্য করত। কিন্তু ট্যুইটার কেনার পর যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি নতুন যে নিয়ম চালু করেছেন, তাতে এরকম অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বেড়ে গিয়েছে। আসলে টাকা দিলেই মিলে যাচ্ছে ব্লু টিক। আর তা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন আম-নেটিজেন। কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না যে অ্যাকাউন্টগুলি ট্যুইটারে ভ্যারিফায়েড কি না।