ভারতের হরিয়াণা রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেণু ভাটিয়ার নারী-বিদ্বেষী মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। গত বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল হরিয়াণার কইঠালের একটি কলেজে সাইবার ক্রাইম ও সেই সংক্রান্ত আইন নিয়ে সচেতনতার বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি মন্তব্য করেন, "মেয়েরা ওয়ো রুমে যায় কেন? নিশ্চয়ই হনুমানজির আরতি করতে নয়?’
সেখানেই মেয়েদের সাইবার অপরাধ এবং নিগ্রহের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করতে গিয়ে লিভ ইন সম্পর্ক এবং মেয়েদের হোটেলে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রেণু বলেন, যে সমস্ত মহিলারা লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন, তাঁদের মামলাগুলি সমাধানের ক্ষেত্রে মহিলা কমিশনের ক্ষমতা সীমিত। তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে আসা মামলাগুলির মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।
রেণু জানান, এক্ষেত্রে তাঁদের বিশেষ কিছু করণীয় ছিল না। বরং এই ধরনের ঘটনায় অনেক সময় দুই পক্ষের পরিবার জড়িয়ে পড়ে এবং তাঁদের বদনাম হয়। তাঁর দাবি, লিভ ইন সম্পর্কের জন্যই অপরাধ বাড়ছে।
মহিলাদের উপর শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা বাড়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "ওরা ওয়ো রুমে যায় কেন? মেয়েরা তো ওখানে হনুমানজির আরতি করে না। এসব জায়গায় যাওয়ার আগে মেয়েদের মনে রাখা উচিত, অনেক খারাপ জিনিসও ঘটতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে মেয়েরা কোনও ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে এবং তারপর সেই ছেলেটি মেয়েটির কোল্ড ড্রিঙ্কের মধ্যে কিছু মিশিয়ে দিয়ে খারাপ কাজ করছে এবং তা ভিডিও রেকর্ড করছে। এই ধরনের বন্ধুত্ব থেকে অনেক খারাপ কিছুই ঘটতে পারে, দাবি করেন তিনি।
মেয়েরা মনে করে তারা যা ইচ্ছে তাই পোশাক করতে Wild এবং ছেলেরা মনে করে, তারা কলেজ গেলেই বাইক এবং প্রেমিকা জরুরি - এমন মন্তব্য করেন রেণু ভাটিয়া।
তাঁর বক্ত্যবকে নারীদের প্রতি অবমাননাকর বলে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে এখনও রেণু ভাটিয়ার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।