সমলিঙ্গের বিয়ের স্বীকৃতি মামলা নিয়ে বুধবার ১৯ এপ্রিল-ও ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি চলেছে। বুধবার মামলার শুরুতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এই মামলায় রাজ্যগুলিকে যুক্ত করা হোক।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বক্তব্য নিয়ে আপত্তি না তুললেও খানিক উষ্মা প্রকাশ করে বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই মামলার বিষয়ে মাস ছয়েক আগে নোটিস জারি করা হয়েছিল। এখন কেন রাজ্যগুলিকে যুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে।
সলিসিটর জেনারেল বলেন, সমলিঙ্গের বিয়েতে সম্মতি দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনা চালাচ্ছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে রাজ্যগুলিকে মামলায় যুক্ত করে আদালতে তাদের বক্তব্য জানানোর ব্যবস্থা করা হোক। রাজ্যগুলির মতামত ছাড়া আদালতেরও এগোনো ঠিক হবে না। সলিসিটর জেনারেলের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেনি শীর্ষ আদালত।
সলিসিটর জেনারেল বলেন, বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, দত্তক নেওয়ার মতো বিষয়গুলি সংবিধানের যৌথ তালিকা ভুক্ত। তাই বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র এককভাবে এগোতে চায় না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল শুনানির সূচনায় কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের শোনা উচিৎ নয়। কারণ, সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি হবে না তা নিয়ে আদালতের কিছু করণীয় নেই। এটা সরকার ও সংসদের বিষয়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় পত্রপাঠ কেন্দ্রের ওই বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে বলেন, আদালতকে এক্তিয়ার মনে করানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন।
আদালত সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে সমলিঙ্গের বিয়ের বিষয়ে হলফনামা জমা করতে হবে। এই ব্যাপারে বিচার বিভাগের অধীনে থাকা বিবাহ অধিকর্তার অফিস ছাড়াও স্বাস্থ্যসচিবকেও হলফনামা জমা করতে হতে পারে।
বুধবার ১৯ এপ্রিল শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেন, ১৯৫৪ সালের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের সাহায্যেই সমলিঙ্গের দু’জনের বিয়েকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব। এজন্য পৃথক আইন করার প্রয়োজন নেই।