দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে শনিবার রাতে মানুষের প্রচণ্ড ভীড়ে অন্তত ১৫১ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর, বিশ্বনেতারা এমন ঘটনায় দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
সিউলের ইতেওন ডিস্ট্রিক্টে হ্যালোউইন উৎসবের সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ হঠাৎ এক সরু ঢালু গলিতে প্রবেশ করার পর মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে। কয়েক বছরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ এই ঘটনাটিতে আরও অন্তত ৮২জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের পরিবারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাদের “গভীর সমবেদনা” প্রকাশ করেছেন।
এক টুইটে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “রিপাবলিক অফ কোরিয়ার মানুষের সাথে আমরাও শোকার্ত এবং আহত সকলের দ্রুত সেরে উঠার আশা করছি। এই মর্মান্তিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র রিপাবলিক অফ কোরিয়ার পাশেই রয়েছে।”
একইভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও সিউলের এমন ঘটনার খবরকে টুইটারে “ভয়াবহ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সুনাক লেখেন, “এই প্রচণ্ড পীড়াদায়ক মুহুর্তে আমাদের মন জুড়ে রয়েছেন তারা, যারা ঘটনায় সাড়া দিচ্ছেন এবং রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সকল মানুষ।”
ইতেওন-এর কাছে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গ্যারিসনটির ফলে সেখানে একটি আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এলাকাটিতে এখনও রেস্টুরেন্ট, পানশালা ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো সিউলের আমেরিকান সম্প্রদায়কে সেবা দিয়ে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এই সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী, ইউএস ফোর্সেস কোরিয়া, এক ফেসবুক পোস্টে ঘটনাটিতে সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও, জাপান, ফ্রান্স, চীন ও সিঙ্গাপুর সহ আরও অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দও সিউলের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।