ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, এখন অষ্টম মাসে গড়িয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিল্পের নিরিখে ঐতিহাসিক স্থান এবং ধনসম্পদ ধ্বংস ও লুটপাট এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি’র সাথে এক সাক্ষাত্কারে, ইউক্রেনের সংস্কৃতি মন্ত্রী ওলেক্সান্ডার তাকাচেঙ্কো অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা প্রায় ৪০টি ইউক্রেনীয় জাদুঘরে রাখা নিদর্শন ধ্বংস ও লুটপাট করেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, সাংস্কৃতিক স্থান লুট ও ধ্বংসের ফলে প্রায় কয়েকশ’ মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, "ইউক্রেনীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি রাশিয়ানদের মনোভাব নিঃসন্দেহে একটি যুদ্ধাপরাধ।"
ইউক্রেনের প্রত্নতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ওলেক্সান্ডার সিমোনেনকো বলেছেন, “এগুলি প্রাচীন আবিষ্কার। এগুলো অমূল্য শিল্পকর্ম। যদি এসব সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়, তাহলে তা হবে একটি অপূরণীয় বিপর্যয়।"
রাশিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রক মেলিটোপোল সংগ্রহ সম্পর্কে প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি।
মারিউপোলের নির্বাসিত সিটি কাউন্সিল বলছে, রাশিয়ান বাহিনী শহরের জাদুঘর থেকে দুই হাজারের বেশি জিনিসপত্র চুরি করেছে। কাউন্সিল বলছে, সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে: প্রাচীন ধর্মীয় আইকন, একটি অনন্য হাতে লেখা তোরাহ স্ক্রল, একটি ২০০ বছরের পুরানো বাইবেল এবং ২০০ টিরও বেশি পদক।
রুশ আগ্রাসন ইউক্রেনের সাংস্কৃতিক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা এবং শেলিং দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানগুলির একটি তালিকা করেছে। যুদ্ধ এখন অষ্টম মাসে গড়িয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, তারা ১২টি অঞ্চলে ১৯৯টি স্থাপনার ক্ষতির বিষয়টি যাচাই করে দেখছে।
ইউনেস্কো বলছে, এর মধ্যে ৮৪টি গীর্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থান, ঐতিহাসিক গুরুত্বের ৩৭টি ভবন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ৩৭টি ভবন, ১৮টি স্মৃতিস্তম্ভ, ১৩টি জাদুঘর এবং ১০টি গ্রন্থাগার রয়েছে।
তবে, ইউক্রেনীয় সরকারের মতে, এই সংখ্যা আরও বেশি। কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ধ্বংস এবং ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় ভবনের সংখ্যা অন্তত ২৭০টির মতো হবে।