শনিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে। একদল যুবক ইসরাইলি নিরাপত্তা বেড়ায় একটি ফুটো করে পুলিশের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করার পর এই ঘটনা ঘটে।
জেরুজালেমের ঠিক বাইরে একটি গ্রাম আজারিয়াতে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের পর থেকে এটিই পশ্চিম তীরে সবচেয়ে মারাত্মক সহিংসতার বছর।
ইসরাইলের আধা-সামরিক সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার সময় তাদের দিকে আগুন বোমা নিক্ষেপকারী একজনকে গুলি করে হত্যা করে বাহিনী। এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর ও বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃত যুবককে ১৮ বছর বয়সী ফায়েজ দামদুম বলে
সনাক্ত করেছে।
প্রায় ২০ বছর আগে ইসরাইলের নির্মিত এই দেয়ালটিকে আক্রমণকারীদের ইসরাইলে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখার জন্য এটি একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলা হলেও ফিলিস্তিনিরা এই কাঠামোকে অবৈধভাবে ভূমি দখল এবং ইসরাইলের ৫৫ বছরের সামরিক দখলদারিত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে।
১৯৬৭ সালের মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। প্রায় ৭ লক্ষ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বর্তমানে এই দুটি অঞ্চলে বাস করে, যা ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যতের রাষ্ট্রের জন্য দাবি করে।
শনিবারের এই হত্যাকাণ্ড এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গাজায় হাজার হাজার মানুষ শনিবারের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল "আল আকসা বিপন্ন।" গাজায় হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়েহিয়েহ সিনওয়ারসহ হামাস নেতারা একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন।
ইহুদিরা এই স্থানটিকে পবিত্রতম স্থান হিসাবে বিবেচনা করে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য রাওহি মুশতাহা বলেন, ইসরাইলের আচার-আচরণ ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদটিকে বিপন্ন করে তুলছে।