পাঁচ মাস আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দেশটির পার্লামেন্ট ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকেই দেশজুড়ে জনসমাবেশের মাধ্যমে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীদের ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে এখনও তিনি একজন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক শক্তি।
মঙ্গলবার তিনি দেশের উত্তর-পশ্চিমের শহর পেশোয়ারে ২৫ হাজার সমর্থকের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
ইমরান খান জানান, তিনি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করার জন্য রাজধানী অভিমুখে মিছিলের আয়োজন করবেন। কিছু বিশ্লেষকের মতে, আগাম নির্বাচনে ইমরান খান হয়তো বড় ব্যবধানে জিতবেন।
তবে শাহবাজ আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হওয়া উচিৎ।
সরকারের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নির্দেশে মঙ্গলবারের বক্তব্য কোনো টিভি চ্যানেলে লাইভ দেখানো হয়নি। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইমরানের ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে।
ইমরান দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্তে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং দেশটি ইমরানের অবলম্বন করা উদার পররাষ্ট্রনীতির বিরোধী। ওয়াশিংটন এ দাবী নাকচ করেছে।
ইসলামাবাদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে একজন পুলিশ ও বিচারককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড পেতে পারেন। বর্তমানে তিনি সাময়িকভাবে জামিনে মুক্ত আছেন।
তিনি জানান, পাকিস্তানের উচিৎ হবে না অন্য দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য নিজেদের ভূমি ব্যবহার করতে দেওয়া।
সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার ড্রোন পাকিস্তানের আকাশ-সীমা ব্যবহার করে আফগানিস্তানের ওপর নজর রাখছে।
ইমরান সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দাবি করেছেন, রাশিয়া ও চীনবান্ধব পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করায় আমেরিকা তাকে সরাতে চাইতো।
ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার পছন্দের ব্যক্তিকে গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান না করায় দুজনের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান তার ক্ষমতাচ্যুতির চক্রান্তের পেছনে বাজওয়ার হাত আছে বলে বিশ্বাস করেন।
তবে মঙ্গলবার ইমরান বলেন, ‘আমি আমাদের সেনাবাহিনীকে ভালোবাসি।’