ইউক্রেন সরকার বলছে, রাশিয়া ১ হাজারেরও বেশি স্কুলে গোলাবর্ষণ করেছে, ৯৫টিরও বেশি স্কুল ধ্বংস করেছে। ৮ মে একটি বোমা জাপোরিঝিয়াতে একটি স্কুল ধ্বংস করে।স্কুলটি চের্নিহিভের ২১ নম্বর স্কুলের মতো একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। প্রায় ৬০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুল এবং অন্যান্য বেসামরিক কাঠামোতে আক্রমণ একটি যুদ্ধাপরাধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুশ অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসেবে এবং এ ধ্বংসযজ্ঞ কেবল কোল্যাটারাল ড্যামেজ ছিল- এমন দাবি খণ্ডন করতে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৌঁসুলী এবং ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ৮ হাজারেরও বেশি প্রতিবেদন এবং ৫০০ জন সন্দেহভাজনের ওপর তদন্ত করছে।
যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষাগত অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং ধ্বংস হওয়া সত্ত্বেও পৃথকভাবে স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য সামরিক বাহিনীর আক্রমণের অভিপ্রায় প্রমাণ করা কঠিন। রুশ কর্মকর্তারা বেসামরিক কাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত গোরলোভকার স্থানীয় গণমাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এলাকাটি পুনরুদ্ধার করতে যাওয়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর ঘটানো বিস্ফোরণ সেখানকার দুই শিক্ষকের মৃত্যুর জন্য দায়ী।