অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মুদ্রা সংকট তীব্র হওয়ায় শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস 


শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বোর অদূরে বিয়াগামা এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর মোমবাতির আলোয় পড়ছে এক শিক্ষার্থী। (ছবি- এএফপি)
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বোর অদূরে বিয়াগামা এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর মোমবাতির আলোয় পড়ছে এক শিক্ষার্থী। (ছবি- এএফপি)

গভীর আর্থিক সংকটের কারণে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ায় শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস করছে। জ্বালানি ঘাটতি দেশটির পাওয়ার গ্রিডকেও পঙ্গু করে দিচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার পাবলিক ইউটিলিটি কমিশন বলেছে যে মঙ্গলবার এবং সোমবার দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর বুধবার সাড়ে চার ঘণ্টার জন্য দেশের গ্রিড বন্ধ করে দেবে। কর্মকর্তাদের মতে, সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত সাড়ে দশটার মধ্যে এলাকাগুলোতে পালাক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে।

দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে যে, জ্বালানি ঘাটতির কারণে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়ায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার অনুমতি চায়।

ক্রমশ কমতে থাকা বৈদেশিক রিজার্ভের কারণে শ্রীলঙ্কা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।এই মুদ্রা সংকটের কারণে বিদেশ থেকে জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করা যাচ্ছে না।আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দুধের গুঁড়া, রান্নার গ্যাস এবং পেট্রল।

পর্যটন এবং বাণিজ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে কোভিড মহামারি অত্যন্ত খারাপভাবে আঘাত করেছে। শ্রীলঙ্কার সরকারের মতে, দেশটির অর্থনীতিতে গত দুই বছরে প্রায় ১৪০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিয়েছে এবং দেশটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বন্ডে ১২৫০ কোটি ডলার পরিশোধের মুখোমুখি হয়েছে।

জানুয়ারিতে সরকার উন্মুক্ত বন্ডে ৫০কোটি ডলার বকেয়া নিষ্পত্তি করেছে । দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, জানুয়ারির শেষে মোট অফিসিয়াল রিজার্ভ ২৩৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ লেনদেনসহ ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিদেশী ঋণের বাধ্যবাধকতা ৭০০কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে জুলাই মাসে ১০০কোটি ডলার মূল্যের অন্য বন্ডও পরিশোধ করতে হবে।

শ্রীলঙ্কার জলবিদ্যুৎ বাঁধে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

XS
SM
MD
LG