প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, ক্ষমতা থেকে মালিতে ইসলামিক উগ্রপন্থীদের সরানোর জন্য হস্তক্ষেপ করার নয় বছর পর মালি থেকে ফ্রান্স সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে । তবে প্রতিবেশী পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ফ্রান্স তার সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখতে চায়।
প্যারিসে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে ম্যাক্রোঁ, মালির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তাকে ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবহেলা করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সের এ প্রত্যাহার যৌক্তিক কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের পরিবর্তে নিজেকে হাজির করা ফ্রান্সের উদ্দেশ্য নয়।
সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় ৪৩০০ সৈন্য রয়েছে, যার মধ্যে মালিতে রয়েছে ২৪০০। তথাকথিত বারখানে বাহিনী চাদ, নিজার , বুরকিনা ফাসো এবং মৌরিতানিয়াতেও জড়িত রয়েছে।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, মালিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে সুশৃঙ্খল ভাবে ফরাসিদের প্রত্যাহার করা হবে ।
ইউরোপীয় নেতারা বৃহস্পতিবার একযোগে ঘোষণা করেছেন যে তাকুবা নামে পরিচিত ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন সামরিক টাস্কফোর্সের সৈন্যদেরও মালি থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তাকুবা টাস্ক ফোর্স ফ্রান্সসহ প্রায় এক ডজন ইউরোপীয় দেশ থেকে বিশেষ বাহিনীর কয়েকশ সৈন্য নিয়ে গঠিত।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাশিয়ান ভাড়াটে সেনাদের তার ভূখণ্ডে মোতায়েন করার অনুমতি দেয়ার পরে মালির সঙ্গে তার আফ্রিকান প্রতিবেশী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
সমস্যা সমাধানের জন্য ম্যাক্রোঁ বুধবার সন্ধ্যায় প্যারিসে সাহেলের সাথে জড়িত দেশগুলোর আঞ্চলিক এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
ফরাসি বাহিনী ২০১৩ সাল থেকে মালিতে সক্রিয় রয়েছে।ইসলামিক উগ্রপন্থীদের মালির ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করেছিল। কিন্তু বিদ্রোহীরা মরুভূমিতে পুনরায় সংগঠিত হয় এবং মালির সেনাবাহিনী ও তার সহযোগীদের ওপর আক্রমণ শুরু করে।