ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গলে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে মঙ্গলবার বন্দুকযুদ্ধে শিরশ্ছেদের জন্য অভিযুক্ত সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে হত্যা করেছে।
প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান রুডি সুফাহরিয়াদি জানান, পূর্ব ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিন নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আহমদ গাজালি (২৭) যিনি আহমদ পাঞ্জাং নামেও পরিচিত, মধ্য সুলাওয়েসি প্রদেশের পার্বত্য পারিগি মুউতং জেলার উমপাসা গ্রামের কাছে সামরিক ও পুলিশ অফিসারদের এক যৌথ দলের গুলিতে নিহত হন।ঐ গ্রামটি পোসো জেলার সীমান্তে অবস্থিত এবং প্রদেশের চরমপন্থীদের কেন্দ্র।
পূর্ব ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিন পুলিশ অফিসার এবং সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের হত্যার দায় স্বীকার করেছে যাদের মধ্যে কিছু মানুষের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এটি ইসলামিক স্টেট গ্রুপের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। পুলিশ জানিয়েছে গাজালি গত মে মাসে চার খ্রিস্টান কৃষকের শিরশ্ছেদসহ ঐ দলের বেশ কয়েকটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
সুফাহরিয়াদি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যৌথ দলটি ঐ এলাকায় টহল দেয়ার সময় একটি ক্যাম্পে দুই জঙ্গির খোঁজ পায়। তিনি জানান দ্বিতীয় জঙ্গি ঐ সময় জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
অন্য একটি জঙ্গল বন্দুকযুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী দুই জঙ্গিকে হত্যা করার চার মাস পর মঙ্গলবারের গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে। ঐ বন্দুকযুদ্ধে এই গোষ্ঠীর নেতা, দাগী জঙ্গি আলি কালোরা নিহত হন।
সুফাহরিয়াদি বলেন, "আমরা এখনও ঐ দলটির বাকি তিন সন্দেহভাজন সদস্যের সন্ধান করছি।আমরা তাদের অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করার জন্য অনুরোধ করছি নতুবা আমরা আমাদের অভিযান চালিয়ে যাব।"
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া, ২০০২ সালে বালির রিসর্ট দ্বীপে বোমা হামলায় ২০২ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ঐ হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই পশ্চিমা এবং এশিয় পর্যটক ছিলেন।