অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পশ্চিমবঙ্গ সংসদে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমে ৭০, দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিধায়ক 


কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনের আগে একটি সমাবেশে সমবেত হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমর্থকরা। ৭ মার্চ ২০২১।
কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনের আগে একটি সমাবেশে সমবেত হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমর্থকরা। ৭ মার্চ ২০২১।

২ মে পর্যন্ত বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। ২ অক্টোবর আসার আগেই তা কমে ৭০-এ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক সম্মেলনে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়ে দিলেন, তিনি আজ থেকে আর বিজেপিতে থাকছেন না।

কি করবেন? গন্তব্য কোথায়? কৃষ্ণর জবাব, “এখন সময় নিয়ে ভেবে দেখব। তারপর যা করার করব।” সেইসঙ্গে দেবশ্রীর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “উনি যদি পরের বার লোকসভা ভোটে টিকিট পান তাহলে আমি ওঁর জমানাত জব্দ করে ছাড়ব। নইলে রাজনীতি থেকে সন্যাস নেব। মিলিয়ে নেবেন।”

এদিন কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়ে দিয়েছেন, দলের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর যা ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল তা তিনি নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তা সমাধানের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন এই বিধায়ক। কিন্তু কোনও গা না করায় আজ পয়লা তারিখেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন কৃষ্ণ।

এবারের ভোটে ৭৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তারপর নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা সাংসদ পদে থেকে যাবেন। দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা। ফলে বিজেপির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫।

এরপর গত ১১ জুন তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল রায়। এবার তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপির হয়ে জিতেছিলেন। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪-এ। তারপর বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের যোগদানের পর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭৩। ঠিক তার দু'দিন পর বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত্‍ দাস এবং তার কয়েক দিন পর গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায় পদ্ম ছেড়ে জোড়া ফুলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৭১-এ। শুক্রবার তৃণমূলে যোগ না দিলেও বিজেপির খাতা থেকে নিজের নাম কেটে দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।

XS
SM
MD
LG